আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান কিংবা ডাচ বাংলা ব্যাংকের লোন প্রদানের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কারণ এখানে ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এই পোস্ট পড়ার পর ডাচ বাংলা ব্যাংকের সকল লোন সম্পর্কে আপনার ধারনা ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
আমরা সবাই জানি যে, ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছে। যারা ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট করে থাকেন তারা এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকেন। আর এই সকল সুবিধা গুলোর মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংক লোনের সুবিধাও রয়েছে।
আজকের এই পোস্টে ডাচ বাংলা ব্যাংকের লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হবে। সেই সাথে ব্যাংক লোন পাওয়ার জন্য একজন ব্যক্তির কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে এবং কিভাবে সহজে ব্যাংক লোন অনুমোদন করবে ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন আর কথা না বলে মূল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা যাক—
ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন কি? ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশ খুবই জনপ্রিয় একটি ব্যাংক। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করে থাকেন। যারা ডাচ বাংলা ব্যাংকের গ্রাহক রয়েছেন তাদেরকে ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট পরিমান ইন্টারেস্টিং কিছু লোন দিয়ে থাকে। ডাচ বাংলা ব্যাংক অনেক ধরনের লোন দিয়ে থাকে। যেমন— ডাচ বাংলা ব্যাংক ব্যবসা লোন। ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রবাসী লোন। ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন। ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা লোন। ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন। ডাচ বাংলা ব্যাংক কার লোন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক গ্রাহকের সুবিধা বিবেচনা করে যার যে ধরনের লোনের প্রয়োজন হয়ে থাকে তারা এখান থেকে সেই ধরনের লোন নিয়ে থাকেন। আর ডাচ বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যোগ্যতা ভেদে এই সকল লোন দিয়ে থাকে। নিচের ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন বা ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে যে ধরনের লোন দেওয়া হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
১. ডাচ বাংলা ব্যাংক ব্যবসা লোন: বাংলাদেশের অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ব্যবসা লোন বা বিজনেস লোন দিচ্ছে। যাদের ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে তারা চাইলে কিছু শর্তাদি অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই সেখান থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংক ব্যবসা লোন নিতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক ব্যবসা ঋণের বৈশিষ্ট্যঃ যারা ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন নিতে চান তারা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। আপনারা ৫ বছর মেয়াদী এই লোনটা নিতে পারবেন। উক্ত লোনের কিস্তি আপনাদেরকে মাসিক ভিত্তিতে পরিশোধ করতে হবে।
যারা ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ব্যবসায়ী লোন নিতে চান তাদের লোনের জন্য আবেদন করার ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে লোন দেওয়া হয়। এখান থেকে শুধুমাত্র তাদেরকে লোন দেয়া হবে যাদের ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে এবং বাংলাদেশী নাগরিক।
লোন প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তাছাড়া এই লোন শুধুমাত্র তাদেরকে দেয়া হবে যাদের মাসিক আয় ২০ হাজার টাকার উপরে। ডাচ বাংলা ব্যাংক বিজনিস লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ি হওয়া বাধ্যতামূলক না হলেও যাদের ব্যবসা আছে তাদেরকে সহজে এই লোন দেওয়া হয়।
ডাচ বাংলা ব্যাংক ব্যবসায়ী লোন এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র : যারা ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন নিতে চান তাদের প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। নিচের ডকুমেন্টগুলো থাকলে খুব সহজেই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শাখা থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন নেওয়া যাবে। যেমন—
ভোটার আইডি কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কপি লাগবে। যারা চাকরিজীবী তাদের জন্য লেটার অফ ইন্ট্রোডাকশন লাগবে। বেতনের বিবরণী হিসেবে বিজনেস কার্ড লাগবে। অফিস আইডি এবং টেক্স সার্টিফিকেট লাগবে। ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স লাগবে এবং সর্বশেষ একবছরের ব্যাংক হিসাব লাগবে। টিএনডি এবং অন্যান্য ইউনিটি বিলের কপি লাগবে। যিনি লোন নিবে তার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
২. ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন : ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে স্যালারি লোনও দেওয়া হয়ে থাকে। ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে যে কোন ব্যক্তি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে স্যালারি লোন নিতে পারবে। ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্যালারি লোন দেওয়া হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তাদেরকেই লোন দেওয়া হবে যাদের ডাচ বাংলা ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
যারা এখান থেকে লোন নিবে তাদের ৯% হারে ইন্টারেস্ট দিতে হবে। যত কম সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন সুদের হার তত কম হবে। লোন আবেদনের পর ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে আপনারা এখান থেকে লোন পেয়ে যাবেন। আপনার মাসিক বেতন যত বেশি হবে আপনি ততবেশি লোন নিতে পারবেন।
যারা ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন নিতে চান তারা নিকটবর্তী ডাচ-বাংলা শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করবেন এবং প্রয়োজনীয় কিছু শর্তাদি অবলম্বন করে খুব সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে স্যালারি লোন নিতে পারবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র- গ্রাহকের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি লাগবে। ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট এর ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
আপনি কি কাজ করেন বা আপনি কোন পেশায় নিযুক্ত তার প্রমাণ দিতে হবে। অফিসের পরিচয় পত্রের কপি বা পরিচয় পত্র বা যারা চাকরি প্রাপ্ত তাদের বেতন সনদ দিতে হবে। ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে। টিন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে এবং নমিনেট প্রয়োজন হবে। আপনারা উক্ত কাগজপত্র গুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে স্যালারি লোন নিতে পারবেন। আপনার প্রতি মাসের বতন যদি ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে তুলে থাকেন তাহলে ব্যাংক আপনাকে খুব সহজে লোন দিতে রাজি হবে।
৩. ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রবাসী লোন: যারা প্রবাসী রয়েছেন তাদের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ যারা বিদেশে যেতে চান তারা চাইলে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিদেশ যেতে পারেন। এক্ষেত্রে আবেদনকারীর পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রয়োজন হবে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে।
তাছাড়া এখান থেকে লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই একজন নমিনির প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ আর্থিকভাবে সচ্ছল কোন ব্যক্তি যদি গ্যারান্টার হয়ে থাকে তাহলে খুব সহজেই এখান থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রবাসী লোন নেওয়া যাবে। ডাচ বাংলা ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় সহজ শর্তে প্রবাসিদের লোন দিয়ে থাকে।
৪. ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা লোন : ছাত্রদের সুবিধার জন্য অর্থাৎ ছাত্রদের নিয়মিত শিক্ষা খরচ, টিউশন ফি এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে শিক্ষা লোন দেওয়া হয়। এ ধরনের লোনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের কাছে লোনের অনুমোদন নেওয়া হয়। যারা ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে শিক্ষা লোন নিতে চান তাদের বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা লোন এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র- জাতীয় পরিচয় পত্র পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রয়োজন হবে। পরিষ্কার স্টুডিও ফটোগ্রাফ অথবা বিজনেস কার্ড লাগবে। গত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে। যে গ্রান্টার হবে তার ট্রেড লাইসেন্স লাগবে।
বাড়ি যদি থেকে থাকে তাহলে তার বৈধ দলিলপত্রের ফটোকপি লাগবে এবং ভাড়া বাড়িতে যদি থাকেন তাহলে তার সিলিপ লাগবে।
তাছাড়া অন্যান্য কিছু লোকের প্রয়োজন হবে যেগুলো আপনারা সরাসরি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শাখা থেকে জেনে নিতে পারবেন।
৫. ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন : ডাচ বাংলা ব্যাংক সকল সময়ই তাদের গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করে থাকে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের নানা সুবিধার মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন এর সুবিধাটি অন্যতম। কারণ এই লোন যে কোন ব্যক্তি সহজ শর্তে নিতে পারেন।
আপনার যদি ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট থাকে তাহলে আপনারা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে খুব সহজে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে সরাসরি ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। এ ধরনের লোন ব্যক্তির সমস্যা বিবেচনা করে ছোট, বড় ও মাঝারি ধরনের ঋণ দিয়ে থাকে। যারা এখান থেকে পার্সোনাল লোন নিবেন তাদের ৮% ইন্টারেস্ট প্রদান করতে হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন আবেদনের কাগজপত্র- যিনি লোন নেবে তার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা ট্রেড লাইসেন্স এর দরকার হবে। গত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ব্যাংকে জমা দিতে হবে। একজন নমিনি নির্বাচন করতে হবে এবং নমিনি নির্দিষ্ট কিছু কাগজ পাতি জমা দিতে হবে। তাছাড়া আরও কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে যা আপনারা সরাসরি ডাচ বাংলা পার্সোনাল লোন আবেদন করতে পারবেন।
৬. ডাচ বাংলা ব্যাংক হোম লোন: যারা নতুন বাড়ি করতে চান তারা চাইলে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে সরাসরি বাড়ির লোন নেওয়ার মাধ্যমে বাড়ি তৈরি করতে পারেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে বাড়ির জন্য সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হয়ে থাকে। আর এই লোনের ইন্টারেস্ট হচ্ছে ৮ শতাংশ।
তাই যারা ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে হোম লোন নিতে চান তারা ডাচ বাংলা ব্যাংকের যেকোন শাখা থেকে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র জমা দেয়ার মাধ্যমে হোম লোন নিতে পারবেন। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট থাকা লাগবে।
৭. ডাচ বাংলা ব্যাংক কার লোন : ডাচ বাংলা ব্যাংকের বিভিন্ন পরিষেবা গুলোর মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংক কার লোন দারুন একটি পরিষেবা। ডাচ-বাংলা ব্যাংক ব্যবহারকারীরা বা এর গ্রাহকরা চাইলে খুব সহজেই যোগ্যতা অনুযায়ী এখান থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংক কার লোন নিতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক কার লোন কারা নিতে পারবে- ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্টকৃত যে কোন ব্যাক্তি খুব সহজেই যোগ্যতা অনুযায়ী কার লোন নিতে পারবেন। কার লোন এর জন্য আবেদনকৃত ব্যক্তির বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং তার মাসিক আয় ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা হতে হবে। ব্যবসায়ী অথবা পেশাদার যে কোন ব্যক্তি এখান থেকে কার লোন নিতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কার লোন দেওয়া হয়ে থাকে। সুদের হার ৮ শতাংশ এবং মাসিক ভিত্তিতে কিস্তি প্রদান করতে হবে যা ৫ বছরের মধ্যে শোধ করা বাঞ্ছনীয়। ডাচ বাংলা ব্যাংক কার লোন এর জন্য প্রয়োজনীয় যে সকল কাগজপত্র লাগবে আপনারা সরাসরি ডাচ-বাংলা শাখা থেকে জেনে নিতে পারবেন।
৮. ডাচ বাংলা ব্যাংক বাইক লোন: অনেকেই আছেন যারা ডাচ-বাংলা ব্যাংকে বাইক লোন দেয় কেন এটা সম্পর্কে জানতে চান। তাদের জন্য বলছি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে কোন ধরনের বাইক লোন দেওয়া হয় না। তবে আপনারা চাইলে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিয়ে বা ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন নিয়ে বাইক কিনতে পারেন। কেননা এখনো পর্যন্ত ডাচ বাংলা ব্যাংক বাইক লোন দেওয়া কোন সুবিধা চালু হয়নি।
ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন সুদের হার: ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন যারা নিতে চান তারা অনেকেই ডাচ বাংলা ব্যাংক লোনের সুদের হার কেমন সেটা সম্পর্কে জানতে চান। যারা ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে নতুন লোন নিয়ে থাকেন তাদের জন্য মুনাফার হার হয়ে থাকে ৭.৫০ শতাংশ। আর আপনি যদি অন্য কোন ব্যাংক থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা টান্সফার করে লোন নিতে চান তাহলে আপনার সুদ দিতে হবে ৭ শতাংশ।
তাছাড়া ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে যেহেতু অনেক ধরনের লোন দিয়ে থাকে তাই এর ইন্টারেস্ট চার্জ টাও অনেক ক্ষেত্রে ভিন্নতর হয়ে থাকে। তাই লোন নেওয়ার আগে আপনি কোন ধরনের লোন নিবেন সেটি সিলেক্ট করে ডাচ বাংলা ব্যাংক শাখা থেকে সরাসরি জেনে নিতে পারেন।
শেষ কথা : ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন পদ্ধতি অন্যান্য ব্যাংকগুলোর তুলনায় অনেক সহজ। এখান থেকে আপনারা কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই খুব সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন নিতে পারবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক সকল সময়ই তাদের গ্রাহকদের অতি কম সুদে লোন প্রদান করে থাকে। তাই এখান থেকে আপনারা সকল ধরনের সুবিধাই পাচ্ছেন।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন আবেদন কিভাবে করবেন এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন সুবিধা কেমন এই সম্পর্কিত বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তার পরেও যদি কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে প্রশ্ন করতে পারেন। আমরা আপনার প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার যথার্থ চেষ্টা করব।
তথ্যসূত্র: ব্লগার বাংলাদেশ
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।